Some Terrible Games [ ভয়ঙ্কর কিছু গেমস ] Mysterious Games In Bangla
বর্তমান সময়ে বিনোদনের জন্য খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম গেমস। বিশেষ করে আধুনিক বিশ্বে উন্মাদনার অপর এক নাম ভিডিও গেমস বা অনলাইন গেমস । কেননা ভিডিও গেমস বা অনলাইন গেমসগুলো এখন অনেক বেশি উপভোগ্য এবং চ্যালেঞ্জিং । কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং গেম খেলতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর তাদের এই নেশা একদিন তাদের মানসিক ভাবে বিপদগ্রস্ত করে এবং এর ফল অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে । তাই Jubaly.com আজ এমন কিছু ভয়ঙ্কর গেমস নিয়ে হাজির হয়েছে যেসব গেমস কখনও খেলা উচিত নয় ।
Blue Whale The Suicide Game :
নামটা এখন সোসাল মিডিয়ার আলোচিত বিষয় । এটি একটি ড্রাক অয়েভের গেম । ব্লু হয়েল গেমটা আবিষ্কার করেছেন রাসিয়ান এক হ্যাকার টিম । অল্পবয়সিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এই গেম । এর একটা করে লেভেল পার হওয়া মানে একটু করে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যাওয়া । গেমটিতে এক একদিন এক একটি করে কাজ দেওয়া হয় । গ্রুপ অ্যাডমিনের দেওয়া টাস্ক পূরণ করতে পারলেই পৌঁছে যাওয়া যায় পরের ধাপে। গেমটা অনলাইন খেললেও কাজগুলো করতে হবে বাস্তবে । যেমন, একা বসে দেখতে হবে একটি ভূতের ছবি । ভয় না পেয়ে সে ছবি দেখে শেষ করতে পারলেই যাওয়া যাবে পরের লেভেলে । মোট ৫০ দিন ধরে খেলা হবে এই গেম এবং একদম শেষ ধাপটা পার করা মানেই আত্মহত্যা । আর তারপরই গেম ওভার । বর্তমানে গেমটা নিষিদ্ধ ঘোষোণা করা হয়েছে । এই গেম খেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ । ভুল করেও কখনও এই গেম খেলবেন না ।
Sad Satan :
ভিডিও জগতের আর একটি ভয়ংকর গেমস হল স্যাদ স্যাটান । আইরিশ একজন যুবক যার নাম জেমি ফারেল , তার এক অদ্ভূত নেশা রয়েছে, ভার্চুয়াল জগতের ডার্কেস্ট ফ্যাক্টগুলো খুঁজে বের করা। এই নেশার তাগিদেই ইন্টারনেট ঘাটতে ঘাটতে একদিন তার নজরে পড়ে এক অদ্ভুত ভিডিও গেম। যার নাম ‘স্যাড স্যাটান’। বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় ‘দুঃখিত শয়তান’। এটিকে বলা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর ভিডিও গেম। যারা খেলেছেন , তারাই এই দাবিই করেছেন। আজ অবধি কেউ জানে না, কে তৈরি করেছিলেন এই গেমটি। জেমি নিজে একজন দক্ষ গেমার। কিন্তু এই গেমটি খেলতে গিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জেমির মতে, সব সময় মনে হতো যেন গেমের কাল্পনিক চরিত্ররা বাস্তবেও তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। গেমটির মাত্র পাঁচটি পর্ব রয়েছে ইউটিউবে ।
The Fear :
গেমটি ২০০৫ সালে রিলিস করা হয় । এই গেমটি ভৌতিক মুভির চেয়েও ভয়ংকর একটি গেম । গেমটিতে দেখা যায় এক লোকের বউ পাগল হয়ে যায় এবং সে তার বউকে পাগলা গারদে রেখে আসে। সেখানে তার বউ আত্তহত্যা করে এবং লোকটি যখন ২য় বিয়ে করেন তখন তার ১ম স্ত্রী ভূত হয়ে সেই লোকটির কাছে ফিরে আসে । এই গেমটি একাকী কোথাও বসে খেললে ভয় পাওয়ার নিশ্চয়তা ১০০ ভাগ এবং গেমটি আপনার মস্তিস্কে ডুকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে যা এক জন মানুসের বাস্তব জিবনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিসাধন করে ।
Horror Hospital 2 :
এটিও একটা অত্যন্ত ভয়ংকর গেম । গেমটিতে এমন কিছু গ্রাফিক্স এর ব্যবহার করা হয়েছে যে, যা সত্যিকার ভূত বা প্রেত এর চেয়ে কম নয় । গেমসটিতে দেখা যায় অন্ধকার একটি বাড়ি, যেখানে আপনি ঘুরে বেড়াবেন । আর তখন হঠাৎ আপনার সামনে ভূত চলে আসবে । যা গেমটি খেলার সময় মস্তিষ্কে আঘাত হানে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন খেলোয়াড়রা । যারা খুবই ভীতু তারা কখনও খেলবেন না এই গেমটি , আর খেললে আপনি মানিসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ।